বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

সেবা - শান্তি - প্রগতি
জয় বাংলা - জয় বঙ্গবন্ধু

গঠনতন্ত্র

গঠনতন্ত্র নিয়মাবলী

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

২৭শে জুলাই ২০০৩-এ অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক

সংশোধিত ও অনুমোদিত

The Constitution of the

Bangladesh Awami Volunteers League

as modified up to 27th July 2003

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক

২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত

মূল্য: ২০ টাকা

গঠনতন্ত্র

. নাম

এই সংগঠনের নাম হবে “বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ইংরেজিতে “Bangladesh Awami Volunteers League” সংক্ষেপে বাংলায় “স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ইংরেজিতে “BAVL”  নামে অভিহিত হবে।

. মূলনীতি

সংগঠনের মূলনীতি হবে সেবা, শান্তি, প্রগতি।

. পতাকা মনোগ্রাম

ক) সংগঠনের পতাকার পরিমাপের অনুপাত ৫:৩ অর্থাৎ এর দৈর্ঘ্য:প্রস্থ = ৫:৩। পতাকার জমি ডানদিকের দুই-তৃতীয়াংশ গাঢ় সবুজ এবং বামদিকের এক-তৃতীয়াংশ সাদা। গাঢ় সবুজ অংশের উপরদিকে তিনটি মূলনীতির প্রতীক হিসাবে তিনটি গাঢ় লাল রঙের তারকা খচিত হবে। (পতাকার ছবি)

খ) সংগঠনের মনোগ্রাম হবে সূর্যের মতো গোলাকৃতির মধ্যে পানিতে ভাসমান নৌকা প্রতীকের দু’পাশে দু’টি পাটগাছ এবং উপরে মূলনীতির প্রতীক তিনটি তারকা। (মনোগ্রামের ছবি)

. ভাষা

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহের প্রধান ভাষা হবে বাংলা।

. কার্যালয়     

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কার্যালয়ের স্থান নির্ধারণ করবেন। (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ)

. লক্ষ্য উদ্দেশ্য

ক) লক্ষ শহীদের রক্তার্জিত স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল হয়ে বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দারিদ্র, নিরক্ষরতা ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গঠনকল্পে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।

খ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহযোগী শক্তি হিসাবে কাজ করবে।

গ) সংগঠনের সুষ্ঠু পরিচালনা ও বিকাশের স্বার্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কর্তৃক গৃহীত যে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ঘ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দৈব দুর্বিপাকে বিপন্ন-আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকা।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ক) লক্ষ শহীদের রক্তার্জিত স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল হয়ে আত্মমর্যাদাশীল আধুনিক উন্নত জাতি রাষ্ট্র গঠনকল্পে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।

খ) সংগঠনের মূলনীতি সেবা, শান্তি, প্রগতি’র বীজমন্ত্রে উদ্দিপ্ত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহযোগী শক্তি হিসাবে কাজ করবে।

গ) সংগঠনের সুষ্ঠু পরিচালনা ও বিকাশের স্বার্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কর্তৃক গৃহীত যে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ঘ) বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নের কন্টকময় দুর্গম পথে মোট ২১ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গকন্যা, বাঙালির আশা-ভরসার শেষ আশ্রয় জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রতি পদে পদে মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও তাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নি। ১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্টের মত নির্মমতা আমরা ঠেকাতে পারি নি সত্য কিন্তু আর কোন সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্র যেন প্রিয় নেত্রীর জীবনকে বিপন্ন করতে না পারে প্রাথমিকভাবে সেটাই উদ্দেশ্য বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জননেত্রি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভ্যানগার্ড হিসেবে সকল সভা-সমিতি-কর্মসূচিতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা পালন করবে।

ঙ) আত্মমর্যাদাশীল আধুনিক উন্নত জাতি রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম বাঁধা হচ্ছে ঘাপটি মেরে থাকা ৭১ ও ৭৫ এর পরাজিত শক্তি এবং তাদের এজেন্টদের ষড়যন্ত্র, সেইসাথে জলবায়ু পরিবর্তন হেতু নানা প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি। এই উভয় ঝুঁকি মোকাবেলা ও প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদা সচেষ্ট থাকবে।

চ) দৈব দুর্বিপাকে যে কোন দুর্ঘটনা, ও বিপন্ন-আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকা।

ছ) মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত প্রগতিমনস্ক যুবসমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা

 . সংগঠনের স্তরবিন্যাস

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্তর-বিন্যাস হবে নি¤œরূপ:

ক) জাতীয় কাউন্সিল খ) জাতীয় কমিটি গ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ঘ) উপদেষ্টা পরিষদ ঙ) জেলা শাখা চ) উপজেলা/থানা শাখা ছ) ইউনিয়ন শাখা জ) প্রাথমিক শাখা ঝ) গ্রাম/ইউনিট শাখা। * পৌর/সিটি/নগর/মহানগর শাখা

. সদস্যপদ

গঠনতন্ত্রের ৬ নং ধারায় উল্লেখিত আদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং গঠনতন্ত্রের বিধানাবলিতে আস্থাবান হয়ে ন্যূনতম ১৮ বৎসর বয়সের বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রাথমিক সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক সদস্য হওয়ার জন্য ১০ (দশ) টাকা ভর্তি ফি দিয়ে স্ব-স্বাক্ষর আবেদন করতে হবে। প্রাথমিক বা শাখা কমিটির সদস্যদের সাধারণ সভায় প্রার্থীর সদস্যপদ অনুমোদিত হলে তিনি অনুমোদনের তারিখ হতে এক বৎসর পর্যন্ত প্রাথমিক সদস্য বলে গণ্য হবেন। প্রাথমিক সদস্য পদের মেয়াদ পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রাথমিক সদস্যকে পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ প্রদানের জন্য জেলা কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সুপারিশ করতে পারবেন। জেলা কার্যনির্বাহী সংসদ সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ প্রদান করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে মেয়াদান্তে আপনা-আপনি পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করবেন। পূর্ণাঙ্গ সদস্য না হলে কেউ সংগঠনের কোনো স্তরে কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে পারবেন না।

. বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কাউন্সিল

ক) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিল সংগঠনের সর্বোচ্চ পরিষদ বলে গণ্য হবে। প্রতি তিন বছর অন্তর জেলা/মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে নির্বাচিত নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলার সমন্বয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিল গঠিত হবে। ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের সময় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সংগঠনের যে কোনো শাখার প্রাথমিক সদস্যভুক্ত ৫০ জন সদস্যকে কো-অপ্ট করে জাতীয় কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারবে।

খ) জেলা/মহানগরের প্রতি ২০ জন সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে ১ জন করে কাউন্সিলার নির্বাচিত হবেন। জেলা/মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের স্ব-স্ব জেলা/মহানগর থেকে নির্বাচিত নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলারগণের নাম ও পূর্ণ ঠিকানাসহ তালিকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবশ্যই প্রেরণ করবেন।

গ) কোনো জেলা/মহাগর শাখা কোনো কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের স্ব-স্ব জেলা/মহানগর থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলার নির্বাচন করতে না পারলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ উক্ত জেলা/মহানগরের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলার মনোনয়নদান করতে পারবে।

ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ পদাধিকারবলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হবেন।

ঙ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যগণ সভায় যোগদান করার পূর্বে প্রত্যেকে বার্ষিক ২০ (বিশ) টাকা চাঁদা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করবেন।

১০. বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিল সভা

ক) সভাপতির নির্দেশ বা অনুমোদনক্রমে সাধারণ সম্পাদক যে কোনো সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিলের সভা আহ্বান করতে পারবেন। ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী অধিবেশন ব্যতীত বৎসরে অন্তত একবার বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশেষ কাউন্সিল সভা আহ্বান করতে পারবেন। এতদ্ব্যতীত ন্যূনপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ কাউন্সিলারের স্বাক্ষর ও আলোচ্য বিষয়-সংবলিত রিকুউজিশনপত্র সাধারণ সম্পাদক বা সভাপতির নিকট দাখিল করার তিরিশ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক নিজে বা সভাপতির নির্দেশে কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠান করতে বাধ্য থাকবেন। এক-তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হলে কাউন্সিল সভার কোরাম হবে। কিন্তু মূলতবি সভার জন্য কোনো কোরামের প্রয়োজন হবে না।

খ) রিকুইজিশনপত্র পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে যদি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বান না করেন, তবে রিকুইজিশনকারী সদস্যগণ ৩০ দিন পরে নিজেরাই ২১ দিনের নোটিশ দিয়ে সভা আহ্বান করতে পারবেন।

গ) কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কাউন্সিলের বিশেষ বা বার্ষিক বা ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

ঘ) কাউন্সিলের বিশেষ বা বার্ষিক বা ত্রি-বার্ষিক অধিবেশনে জেলা/মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আমন্ত্রণক্রমে তাদের স্ব-স্ব জেলা/মহানগর হতে নির্বাচিত কাউন্সিলারের সমসংখ্যক ডেলিগেট পাঠাতে পারবেন।

ঙ) কাউন্সিলের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী সভা, বার্ষিক সভা বা বিশেষ সভার জন্য সাধারণত ১৫ দিনের ও জরুরি সভার জন্য ৭ দিনের নোটিশ দিতে হবে। নোটিশে আলোচ্য বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। (বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে) সংবাদপত্রের মাধ্যমেও অধিবেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে হবে।

১১. বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কাউন্সিলের কার্যাবলি ও ক্ষমতা

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কাউন্সিল নি¤œলিখিত কার্যাবলি সম্পন্ন ও ক্ষমতাসমূহ প্রয়োগ করবে:

ক) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচি প্রণয়ন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করার প্রস্তাব গ্রহণ;

খ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্দেশ্যসাধন করার প্রয়োজনে যে কোনো নীতি বা পন্থা বা প্রস্তাব গ্রহণ;

গ) গঠনতন্ত্রের ১৪ ধারায় উল্লেখিত কর্মকর্তা নির্বাচন;

ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কাউন্সিল বিনাশর্তে বা শর্তাধীনে গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যে কোনো ক্ষমতা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের উপর ন্যস্ত করতে পারবে।

১২. বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কমিটি

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি জাতীয় কমিটি থাকবে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলা হতে ১ জন করে সদস্য স্ব-স্ব জেলা ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল কর্তৃক জাতীয় কমিটিতে নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকর্তা, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক মনোনীত ৫১ জন সদস্য এবং উপরিউক্তভাবে নির্বাচিত ও মনোনীত সদস্যবৃন্দকে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কমিটি গঠিত হবে। জাতীয় কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা হবে ১০১+৭৩+৫১ = ২২৫ জন।

১৩. জাতীয় কমিটি নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবে:

ক) জাতীয় কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও জাতীয় কাউন্সিলের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করবে।

খ) যে কোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও জাতীয় কাউন্সিলকে সহযোগিতা করবে।

গ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত ও কার্যাবলি পর্যালোচনা করতে পারবে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী বা বিশেষ অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবসমূহ কার্যকর করবে।

ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের হিসাব-নিকাশ গ্রহণ ও অনুমোদন করবে।

ঙ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃ গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিবেচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

চ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ পদাধিকারবলে জাতীয় কমিটির কর্মকর্তারূপে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ছ) প্রতি ছয় মাসে জাতীয় কমিটির সভা অবশ্যই আহ্বান করতে হবে।

১৪. বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত ১ জন সভাপতি, ১৪ জন সহ-সভাপতি, ১ জন সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ৭ জন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫১ জন কর্মকর্তা ও ৫০ জন সদস্য সমন্বয়ে সর্বমোট ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাঠামো:

১।         সভাপতিঃ    ১ জন

২।        সহ-সভাপতিঃ    ১৪ জন

৩।        সাধারণ সম্পাদকঃ    ১ জন

৪।        যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকঃ  ৩ জন

৫।        সাংগঠনিক সম্পাদকঃ    ৭ জন

৬।        প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ       ১ জন

৭।        সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ ১ জন

৮।        দপ্তর সম্পাদকঃ ১ জন

৯।        সহ-দপ্তর সম্পাদকঃ      ১ জন

১০।      অর্থ বিষয়ক সম্পাদকঃ  ১ জন

১১।       তথ্য-গবেষণা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদকঃ       ১ জন

১২।      আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ           ১ জন

১৩।      সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ     ১ জন

১৪।      শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদকঃ ১ জন

১৫।      আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ ১ জন

১৬।      স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকঃ     ১ জন

১৭।      যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকঃ   ১ জন

১৮।      সমাজকল্যাণ সম্পাদকঃ ১ জন

১৯।      জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদকঃ         ১ জন

২০।      কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদকঃ         ১ জন

২১।      পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ      ১ জন

                       

২২।      বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ       ১ জন

২৩।     সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ  ১ জন

২৪।      সহ-সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ ১ জন

২৫।     ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক       ১ জন

২৬।     সহ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২৭।      শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক          ১ জন

২৮।     মহিলা বিষয়ক সম্পাদক           ১ জন

২৯।      সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক     ১ জন

৩০।     ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক    ১ জন

৩১।      তথ্য-প্রযুক্তি ও স্যোসাল মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক

৩২।     ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক  

৩৩।     সদস্য   ৫০ জন

সর্বমোট:  ১০১ জন

১৫. বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দায়িত্ব

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সংগঠনের সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদ। এই পরিষদ কাউন্সিলের গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশদানসহ নি¤œবর্ণিত দায়িত্বসমূহ পালন করবে:

ক) স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা শাখাসমূহকে অনুমোদন প্রদান, বাতিলকরণ, পুনঃনির্বাচনের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনবোধে যে কোনো জেলা শাখা কমিটি বাতিল করে এডহক কমিটি নিয়োগ করা ও এডহক কমিটির নিয়োগের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করা এবং উক্ত কমিটি সুচারুরূপে কার্য সম্পাদন না করলে তা বাতিল করা।

খ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কোনো পদ শূন্য হলে পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে কো-অপশন বা মনোনয়নের দ্বারা তা পূরণ করা।

গ) সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ ও নীতি বিরোধী আচরণের জন্য কোনো সদস্য অভিযুক্ত হলে তাকে বহিষ্কার করা বা বহিষ্কারাদেশ খারিজ করা।

ঘ) সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাব তদারক ও বাজেট প্রণয়ন করা।

ঙ) সংগঠনের জাতীয় কাউন্সিল, বার্ষিক অধিবেশন ও বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা।

চ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যে কোনো সদস্য বিনা কারণে বা সন্তোষজনক কারণ ব্যতিরেকে পরপর ৩টি সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার নাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের তালিকা হতে খারিজ করা হবে এবং শূন্যপদ নিয়মানুযায়ী পূরণ করা হবে। তবে সদস্যপদ খারিজ করার পূর্বে উক্ত সদস্যকে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক কারণ দর্শানোর জন্য পোস্টাল রেজিস্ট্রেশনযোগে নোটিশ প্রদান করতে হবে।

ছ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কাউন্সিলের বার্ষিক, ত্রি-বার্ষিক বা বিশেষ অধিবেশনের তারিখ, স্থান ও আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা।

জ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করার তারিখ নির্ধারণ করা, বিভিন্ন শাখার নির্বাচনের তারিখ ধার্য করা।

ঝ) আবশ্যকবোধে সংগঠনের বিভিন্ন বিভাগীয় সম্পাদকের কার্যক্রম নির্ধারণ করা।

ঞ) বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অধস্তন যে কোনো শাখা কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিবেচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

ট) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সংগঠনের কল্যাণের জন্য অস্থায়ীভাবে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে; কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এই অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা গঠনতন্ত্রে গৃহীত অন্য কোনো ধারার সাথে স্ব-বিরোধী হলে গঠনতন্ত্রের অনুশাসন চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

১৬. বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা

ক) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ প্রতি মাসে একবার বৈঠকে বসবে। জরুরি অবস্থায় যে কোনো সময় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক ডাকা যাবে।

খ) সাধারণ সম্পাদক সভাপতির পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করবেন। সভাপতির নির্দেশক্রমে সাধারণ সম্পাদক উক্ত সভা আহ্বান করতে বাধ্য থাকবেন। সাধারণত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।

গ) কার্যনির্বাহী সংসদের সভার জন্য সাধারণত ৭ দিনের নোটিশ দিতে হবে। কিন্তু জরুরি সভার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়ের নোটিশের প্রয়োজন হবে না। আবশ্যক হলে সংবাদপত্রের মাধ্যমে নোটিশ দিয়ে জরুরি সভা আহ্বান করা যাবে।

১৭. উপদেষ্টা পরিষদ

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা হবে ৭ জন। সভাপতি তাঁর ক্ষমতাবলে প্রয়োজনে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারবেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ সভাপতি কর্তৃক মনোনীত হবেন। উপদেষ্টা পরিষদ সংগঠনের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ বা দিক নির্দেশনা দেবেন। জেলা, উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন পর্যায়েও কেন্দ্রের অনুরূপ

Scroll to Top